স্বদেশ ডেস্খ:
প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে।
শনিবার ভোর থেকেই এই নৌ-রুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চে গাদাগাদি করে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে নামছেন যাত্রীরা। স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে হরহামেশা ছুটে চলছে। যার ফলে সকালে পদ্মায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়।
এদিকে, ভোর থেকে ঘাটে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এছাড়াও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শতাধিক যানবাহন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ আরো বাড়ছে। যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে এই নৌ-রুটে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু থাকছে লঞ্চ চলাচল। শুক্রবার রাতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোর থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্র জানায়, শনিবার ভোর থেকে লঞ্চ, স্পিডবোটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ফেরিতে উঠতেও গাড়ির লম্বা সিরিয়াল রয়েছে। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অধিক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়ছে। তবে চাপ বাড়ায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে অনেকটাই যাত্রীশূন্য লঞ্চ শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রীরা বলেন, নৌযানে উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চে গাদাগাদি অবস্থা। তবে বাড়ি ফিরতে পারছি এটাই বড় বিষয়।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া নৌরুটে বুধবার থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই রুটে রোরো ফেরি এনায়েতপুরি নামের আরো একটি ফেরি যুক্ত হয়েছে। নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা ছয়টি ফেরি চলবে। এছাড়া মাঝিরকান্দি ঘাট দিয়ে দিনের বেলা চলবে আরো চারটি ফেরি। দুই রুটে মোট ১০টি ফেরি দিয়ে ঈদযাত্রায় গন্তব্য ফেরা নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ। তবে মাঝিরকান্দি রুটে রাতে মাত্র একটি ফেরি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার আহমেদ আলী বলেন, যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শিমুলিয়া ঘাট হতে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেশি। বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ চালু রয়েছে। আমরা নৌযানে বাড়তি যাত্রী বহনে সব সময় নিষেধ করে থাকি। তাছাড়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়া হয় না। তবে যাত্রীচাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে কিছু বাড়তি যাত্রী আসছে।